সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস কত ২০২৫ (Government Employees Eid Bonus 2025)

- আপডেট সময় : ১০:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ ১২৯৪ বার পড়া হয়েছে
আর অল্প কিছুদিন পরেই মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। বেসরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস কত এ নিয়েও অনেকেই জানতে চান। কারণ ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে কোরবানি এবং কেনাকাটায় পরিবারের জন্য রাখতে হয় বাড়তি বাজেট। যারা ইতিমধ্যে ও চাকরিতে যোগদান করেছেন তাদের ক্ষেত্রে উৎসব ভাতা প্রাপ্তির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। সাধারণত উৎসবের পূর্ববর্তী মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ বোনাস পেয়ে থাকেন সরকারি কর্মচারীরা। আর যদি কারো মাস সম্পূর্ণ না হয় তাহলে উৎসবের আগে সময় পর্যন্ত যে কয়দিন কর্মদিবস ছিল সেই দিনগুলোর মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বাধা প্রদান করা হয়। উদাহরণস্বর কেউ যদি কেউ ঈদের ১৪ দিন আগে যোগদান করেছেন। তাহলে সেই ব্যক্তি ১৪ দিনের মূল বেতনের সমান উৎসব ভাতা পাবেন। এই নিয়মটি পূর্বে প্রযোজ্য ছিল।
সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাসের নতুন নিয়ম কি
নতুন নিয়ম অনুসারে একজন কর্মকর্তা কর্মচারী মাসের যে তারিখে যোগদান করুন না কেন সে ধার্যকৃত মূল বেতনের সমপরিমাণ বোনাস পাবে। সরকারি চাকরি ছাড়াও বেসরকারি চাকরিজীবী রাও ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন। তবে অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চাকুরীর বয়স ১ বছর পূর্ণ না হলে উৎসবভাতা দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে শ্রম ও আইনে বলা রয়েছে যে যে সকল শ্রমিকের চাকুরীর বয়স নিরবিচ্ছিন্নভাবে ১ বছর পূর্ণ হবে তাদেরকে দুটি উৎসব বোনাস প্রদান করা হবে। এই উৎসব বোনাস বা ভাতার পরিমাণ তাদের মাসিক মূল বেতনের বেশি হবে না। (শ্রম বিধি ১১১)
তাই আইন মোতাবেক মালিককে বা নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই তার নিযুক্ত শ্রমিককে যোগ্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। এমনকি ধারা ১২৩ অনুযায়ী উক্ত মাস শেষের ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে এ পাওনা দিতে হবে। যদি শ্রমিক তার পাওনা যথাসময়ে না পায় তাহলে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে পারবে এমনকি আইনের সহযোগিতাও নিতে পারবেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের বৈশাখী বোনাস
ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার পাশাপাশি যারা সরকারি চাকরি করে থাকেন তারা বৈশাখী উৎসব উপলক্ষেও বোনাস পান। যেদিকে বাংলা নববর্ষ ভাতা বলা হয়। এই ভাতার পরিমাণ হচ্ছে প্রতি বছর মার্চ মাসের মূল বেতনের ২০%। যেহেতু বাংলা নববর্ষ এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয় তাই মার্চ মাসের বেতনের ২০% হারে সরকারি চাকরিজীবীদের বৈশাখী বোনাস প্রদান করা হয়।
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি
ইতিমধ্যে আমরা সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস সম্পর্কে জেনেছি। সাম্প্রতিক সময়ে বেতন বৃদ্ধি ও মহার্ঘ ভাতা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এমনকি ৫% হারে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশও করা হয়েছে। যেটা কিনা স্থায়ী কমিশন গঠন করে প্রতিবছর এই বৃদ্ধি করা হবে এমনটাই জানিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে ইতিমধ্য বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদনাও জমা দেওয়া হয়েছে।
উত্তর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে দেশের মধ্যে বৃদ্ধির কারণে প্রতিবছরের মূল বেতন ৫% হারে বাড়ানো যেতে পারে।
আমরা ইতিমধ্যে পড়ালেখা তো করেছি যে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। যার কারণে একই টাকায় ফ্যামিলি নিয়ে জীবন যাপন করা অনেকটাই দুরুহ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া বেসরকারি বা প্রাইভেট জব যেমন সহজেই পরিবর্তন করা যায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এমন সুবিধানে। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত যথাসাধ্য করতে পক্ষ বেতন বৃদ্ধি করে তারপর বাড়তি বেতনের ও সুযোগ নেই।
একইভাবে দুই ঈদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ এর কোটি কোটি মুসলমান পরিবারের সাথে উৎসব উদযাপন করার সুযোগ পায়। যার কারণে সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু কেনার জন্য প্রয়োজন অর্থ। যার কারণে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবে বোনাস প্রদান করা হয়ে থাকে। এটা ছাড়াও গভারমেন্ট জব হোল্ডাররা বাংলা নববর্ষ বা সরকারি চাকরিজীবীদের বৈশাখী বোনাস দেওয়া হয়।
কোরবানির আগে ক্রস গরু চেনার উপায় জেনে নিন।