জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশের অনেক তরুণ প্রতিনিয়ত পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে। বিশেষ করে সৌদি আরবের মতো দেশে কাজের সুযোগ, ভালো বেতন এবং স্থিতিশীল জীবনের আশায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে রওনা দিচ্ছেন। তাই সৌদি আরবগামীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হচ্ছে? বর্তমানে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া কত? এই প্রশ্নের উত্তর জানা অত্যন্ত জরুরি, কারণ বিমান ভাড়া সময়ভেদে এবং ফ্লাইট টাইপ অনুযায়ী ব্যাপকভাবে পরিবর্তন হয়। সেই সাথে, উপযুক্ত সময়ে টিকিট কাটলে আপনি কিছু অর্থও সাশ্রয় করতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া ২০২৫
২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে যাওয়া বিমানের ভাড়া শুরু হচ্ছে প্রায় ৬০,০০০ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই দাম নির্ভর করে:
• কোন এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করছেন।
• ফ্লাইট ক্লাস (ইকোনমি, বিজনেস, ফার্স্ট ক্লাস)।
• ট্রাভেল সিজন (হজ, ঈদ, ছুটি)।
• অগ্রিম বুকিং করা হয়েছে কিনা।
শহরভিত্তিক প্লেনের টিকিটের দাম
ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে প্লেনের টিকিটের দাম ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন, জেদ্দার জন্য ভাড়া প্রায় ৮০,০০০ টাকা, রিয়াদের জন্য ৫৩,০০০ টাকা, দাম্মামের জন্য ৭৫,০০০ টাকা এবং মদিনার জন্য প্রায় ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এছাড়াও, যদি আপনি হজ বা ওমরা করার উদ্দেশ্যে যান তাহলে প্লেনের টিকিটের দাম হবে কিছুটা বেশি।
হজ, ওমরা ও ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য বিমান ভাড়া
হজ প্যাকেজের জন্য বিমান ভাড়া প্রায় ১,৬০,০০০ টাকা, ওমরা হজের জন্য প্রায় ১,০০,০০০ টাকা এবং ট্যুরিস্ট ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের জন্য প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকার মধ্যে ভাড়া নির্ধারিত হয়ে থাকে।
কোন কোন এয়ারলাইন্সে সৌদি আরব যাওয়া যায়?
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার এরাবিয়া, ফ্লাইদুবাই, গাল্ফ এয়ার এবং এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলো পাওয়া যায়।
ফ্লাইট বুকিংয়ের সময় যেগুলো খেয়াল রাখবেন
১. রিটার্ন টিকিট নিন: একমুখী টিকিটে অনেক সময় সমস্যা হয়। চিকিৎসা বা স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণের ক্ষেত্রে রিটার্ন টিকিট থাকা বাধ্যতামূলক।
২. ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ডিসকাউন্ট: অনেক ব্যাংক ও ট্রাভেল এজেন্সি বিভিন্ন অফার দিয়ে থাকে।
৩. বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট কাটুন: ভুয়া এজেন্সি থেকে সতর্ক থাকুন।
৫. ভিসা, পাসপোর্ট ও ওয়ার্ক পারমিট রাখুন: ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে এগুলোর প্রয়োজন হবে।
এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষেত্রে করণীয়। যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট বা কোম্পানির মাধ্যমে যাচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে বিমানের টিকিট ও অন্যান্য খরচ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। কারণ অনেক সময় এজেন্সি থেকেই ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেয়।
বর্তমানে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে আপনার ট্রিপ হবে আরও সহজ ও পরিকল্পিত। ভিসা, পাসপোর্ট, পারমিট, এবং সঠিক এজেন্সির সহায়তা নিয়ে সঠিক সময়ে টিকিট কাটলে আপনি সাশ্রয়ী ভাড়ায় সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারবেন। ভবিষ্যতের যাত্রা যেন হয় নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী সেই কামনায় এই পোস্টটি লেখা হয়েছে।